Excellent World - অপরচুনিটি প্ল্যান


ই-কমার্স : ইলেকট্রনিক কমার্স বা ই-কমার্স একটি বিজনেস সিস্টেম যেখানে কোন ইলেকট্রনিক মাধ্যম, যেমন- ইন্টারনেট অথবা অন্য কোন কম্পিউটার নেটওর্য়াক এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। আধুনিক ই-কমার্স সাধারনত ওয়েব সাইট এর মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে। ই-কমার্স ব্যবসার অনেক সহযোগী মাধ্যম বর্তমান বাজারে প্রচলিত রয়েছে , যেমন- ফেসবুক মার্কেটিং, মোবাইল মার্কেটিং, ডোর টু ডোর মার্কেটিং ই-মেইল মার্কেটিং ও ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম, বিজনেস টু কনজুমার, কনজুমার টু কনজুমার, কনজুমার টু বিজনেস ইত্যাদি।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং : নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এমন একটি পণ্য বিপণন এর মাধ্যমে যাতে উৎপাদনকারীর সাথে তার ডিসট্রিবিউটর অথবা গ্রাহকরা পন্য বিপণনে অংশ নেয়। বিপণনের ফলে বিক্রিত পণ্যের লভ্যাংশ মূল কোম্পানী তার গ্রাহকদের সাথে শেয়ার করে, এতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহক-ডিস্টিবিউটার উভয় পক্ষই লাভবান হতে পারে। ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এ যেমন- কাস্টমার এর কাছে পন্য পৌঁছাতে অনেক গুলো মধ্যশর্ত ভোগী থাকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ও তেমন মধ্যশর্ত ভোগী থাকেনা। ফলে কাস্টমার অধিকতর কম মূল্যে ও সহজে পন্যটি হাতে পায়।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ই-কমার্স এর গুরুত্ব :  বর্তমান বিশ্ব নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা ই-কমার্স এর উপর সর্বাঙ্গীন ভাবে নির্ভরশীল। নেটওয়ার্ক বড় করতে হলে অথবা কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হলে ই-কমার্স এর শরনাপন্ন হতে হয়। বিশ্বের জনপ্রিয় সকল নেটওয়ার্ক মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব সার্ভারের নেটওয়ার্ক ডাটা মেইটেইনিং সিস্টেম ও ই-ট্রানজেকশন এর সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশে নেটওয়ার্ক এখন আগের চাইতে অনেক বেশি উন্নত ও ভূল ক্রটি মুক্ত। এই উন্নতির মূল কারন ই-কমার্স এর প্রচলন। তাই ই-কমার্স ও নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সিস্টেম Combinedly প্রয়োগে চমৎকার কাস্টমার সুবিধা তৈরী করা সম্ভব। Excellent World বিশ্বব্যাপি তারা একটি উৎকৃষ্ট উদাহরন।
এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ড কেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করে : এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ড এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে দেশের উন্নতি করা সর্বোত্তম মান সম্পন্ন খাদ্য পণ্য ও স্বাস্থ্যপন্য, দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যের প্রস্তুত ও তা বাজারজাত করন। এই অবিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর সহজ ও দ্রুততম মাধ্যম নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা ই-কমার্স মাকের্টিং । এছাড়া নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ এমন কিছু সুবিধা রয়েছে যা প্রচলিত মার্কেটিং সিস্টেমে নেই,  যেমন :-
 ফুল টাইম অথবা পার্ট টাইম কাজ করে অধিক উপার্জন করা সম্ভব।
কর্ম ক্ষেত্রের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে, একজন নেটওয়ার্ক মার্কেটার নিজেই নিজের বস।
 রেফারেন্স তৈরীর মাধ্যমে অথবা রিলেশনশীপ সৃষ্টির মাধ্যমে পণ্যের বিপণন বাড়ানোর জন্য নেটওয়ার্ক মার্কেটিং আদর্শ।
 বিক্রিত পণ্যের রেফারেন্স তৈরীর কারনে অথবা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাড়তি অর্জন সম্ভব।
 বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব।
মহিলারা ঘরে বসেও ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব।
 ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ সহ নানা জটিল রোগের সমাধানের সেবাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর অতীত ও ভবিষ্যৎ : ৯০ শতকের শুরুর দিকে বাংলাদেশে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর সূচনা হয়। ১৯৯৯ সালের পর থেকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং দেশব্যাপী বিস্তার লাভ করে। সূচনালগ্নে ভুল ব্যাখা ও সঠিক তথ্যের ঘাটতির কারনে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বির্তকিত হয়ে পড়ে। এছাড়া স্বার্থনেশী অতীলোভী মালিক পক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের কারনে এই ব্যবসাটার সত্যিকারের রুপ জনসাধারনের কাছে ফুটে উঠতে ব্যর্থ হয়। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন, বাংলাদেশে এখন ই-কমার্স প্রচলিত ও স্বীকৃত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এখন আরও স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিগত ভাবে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় বেশী, তাই অল্প  জায়গায় অধিক কাস্টমার তৈরী করা একমাত্র আমাদের দেশেই সম্ভব।
উন্নত দেশগুলোতে একজন নেটওয়ার্ক মার্কেটার তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে যদি ১০ বছর সময় নেয়, আমাদের দেশে সেই ক্ষেত্রে প্রয়োজন মাত্র ১ বছর। এর মূল কারন জনসংখ্যার ঘনত্ব এখানে ১০ গুন বেশী। আমাদের দেশের তরুন সমাজ বর্তমানে প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যেমন- ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদির ব্যবহার নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কে আরও বেশী বেগবান করেছে। তাই এক কথায় বলা যায় বাংলাদেশই হলো নেটওয়ার্ক মার্কেটারের আদর্শ ক্ষেত্র। তাই Excellent World এর নেটওয়ার্ক ও ই-কমার্স এর Combinedly সিস্টেম বাংলাদেশের মার্কেটিং সিস্টেম এক নতুন দিগন্তের সূচনা করছে ২০১৩ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর মাসে হাটি হাটি পা পা করে বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় এজেন্সি ও বিগ বাজারের মাধ্যমে কাস্টমারদের দ্বার প্রান্তে Excellent World এর পন্য পৌঁছাতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ২০২০ সালের মধ্যে বালাদেশের প্রত্যেকটি পরিবার Excellent World এর পন্য ব্যবহার করবে ইনশাআল্লাহ্। শুধু তাই নয় ইতি মধ্যে সৌদিআরব, মালয়েশিয়া সহ প্রায় ১১ টি দেশে আমাদের পন্য রপ্তানি হচ্ছে। ২০২০ সালের মধ্যে নূন্যতম ১০০ টির ও বেশি দেশে আমাদের পন্য রপ্তানি করে বাংলাদেশের সুনাম ও বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের টপটেন কোম্পানীর অন্যতম কোম্পানী হবে Excellent World এটাই আমাদের মুল লক্ষ্য।

0 comments:

Post a Comment